পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ৩০ অক্টোবর ——– দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার পূর্ব বাসুরিয়া এলাকায় নির্জন ধানখেতের মাঝে ১৬ বছরের আদিবাসী নাবালিকা এলিনা সরেনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তেলিপুকুরের বাসিন্দা এলিনা গতকাল রাতে বাড়ির পাশে এক বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভোর রাতেও বাড়ি না ফেরায় আতঙ্কিত পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। অবশেষে বাড়ি থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে নির্জন ধানখেতে একটি গাছের ডালে সন্দেহজনক অবস্থায় তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা।
এলিনার মোবাইল ফোনটি দেহের পাশেই পড়ে ছিল। পরিবারের দাবি, মেয়েটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। কান্নায় ভেঙে পড়া পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, ‘‘তাদের মেয়ের কোনো শত্রু ছিল না। এমন নির্মম কাজ কে করল, ভেবে পাই না।’’ স্থানীয় বাসিন্দাদেরও দাবি, এটি কোনো আত্মহত্যা নয়; বরং পরিকল্পিতভাবে এলিনাকে নির্জন স্থানে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে তপন থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ‘‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও অন্যান্য প্রমাণের ভিত্তিতে দ্রুত ঘটনাটি স্পষ্ট হবে।’’
এদিকে এই রহস্যময় মৃত্যুকে ঘিরে গোটা এলাকায় উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক। শোকের পাশাপাশি আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাজুড়েও, যেখানে পরিবার ও এলাকাবাসীর একটাই প্রশ্ন—এলিনার মতো একজন নিরীহ আদিবাসী নাবালিকাকে এমন নির্মম পরিণতির দিকে ঠেলে দিল কে বা কারা?

