নিখোঁজ শিক্ষকের রহস্যমৃত্যু! বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে উদ্ধার দেহ। সুদখোর চক্রের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় বালুরঘাটে

উত্তরবঙ্গ কলকাতা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ৭ নভেম্বর ———– ৭২ ঘন্টা পর নিখোঁজ প্রাথমিক শিক্ষক সুকান্ত চক্রবর্তীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার কে ঘিরে রহস্য। বাংলাদেশ সীমান্তের আত্রেয়ী নদী থেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহটি। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল হইচই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বালুরঘাট শহরের পাওয়ার হাউজ স্কুলপাড়া এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ, সুদখোরের জালেই খুন হয়েছেন সুকান্ত। তাদের আরো দাবি, সুকান্তকে নৃশংসভাবে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

সুকান্তের বাবা-মায়ের অভিযোগ, পাপ্পু যাদব নামে এক সুদখোরের কাছ থেকে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ধার করেছিলেন সুকান্ত। যার জন্য প্রতি মাসে ২৪ হাজার টাকা সুদ দিতে বাধ্য হচ্ছিলেন। অর্থের চাপে তার জীবন বিষাদময় হয়ে উঠেছিল। সুকান্তের বাবা বলেন, “ও বারবার বলত, ওই লোকগুলো খুবই ভয়ঙ্কর।” এমনকি নিখোঁজ হওয়ার ঠিক আগে লব চৌধুরী ওরফে সঞ্জয় চৌধুরীর সঙ্গে তার শেষ কথা হয়।

এদিন বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে আত্রেয়ী নদীতে এক অজ্ঞাত পরিচয়ের দেহ উদ্ধার হতেই সুকান্তের বাবা-মা সেটিকে তাদের ছেলের দেহ বলেই শনাক্ত করেন। পরিবারের দাবি, সুদখোর চক্রের চাপে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন সুকান্ত। পাপ্পু যাদব এবং তার সঙ্গীদের প্রভাবশালী চক্র তাকে হুমকি দিচ্ছিল বলেও দাবি তাদের।

স্থানীয়রা এই মৃত্যুকে সুদের জালে আটকে পড়া একজন সাধারণ শিক্ষকের নির্মম পরিণতি হিসেবে দেখছেন। পরিবারের অভিযোগ, অত্যাচারের শিকার হয়েই জীবন গিয়েছে সুকান্তর। তাদের আরো দাবি, “আমাদের ছেলের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।” একইসাথে মৃতদেহটির ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন তারা।

নিখোঁজ স্কুল শিক্ষকের বাবা সলিল চক্রবর্তী ও মা উমা চক্রবর্তীরা বলেন, সোমবার হাতে একটি ব্যাগ নিয়ে বেরিয়েছিল সুকান্ত। তারপর থেকে আর কোন খোজ পাওয়া যায়নি তার। আশায় ছিলেন হয়তো ছেলে বাড়ি ফিরবে, কিন্তু নদী থেকে একটি দেহ উদ্ধারের ছবি সামনে আসতেই তারা সেটিকে চিনতে পেরেছেন। নৃশংস ভাবে সুকান্তকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার পিছনে যারাই যুক্ত থাকুক না কেন তাদের কঠোর শাস্তি চান তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *