দুবাইয়ে গিয়ে গৃহবন্দী মালদা জেলার গাজোলের চাকনগর অঞ্চলের , শিসা পিড়ালুতলা গ্রামের পূর্ণেন্দু বৈরাগী নামে এক শ্রমিক। বাড়িতে স্ত্রী দেবী বৈরাগী দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। চলতি মাসের এক তারিখেই শপিংমলে কাজ দেবে বলে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। সঙ্গে উত্তর দিনাজপুরের একজন ও গঙ্গারামপুর এর দুইজন মোট চারজন গিয়েছিল দুবাই কাজে।।নিপেন বিশ্বাস নামে এক ঠিকাদার তাদেরকে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে পাঠায়। চলতি মাসের পহেলা ডিসেম্বর কলকাতা পৌছায় তারপরে 5 তারিখে বম্বে সেখান থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে প্লেনে করে রওনা দেয় তারপর গিয়ে দেখে তাদেরকে যে উদ্দেশ্যে কাজে নিয়ে এসেছিল সেই কাজ করানো হচ্ছে না। তাদেরকে বলা হয়েছিল শপিংমলে কাজ দেবে এবং তাদের বেতন থাকবে ৬০ হাজারের উর্ধ্বে।। কিন্তু যখন দেখে যে তাদের অন্য কাজ করানো জন্য নিয়ে এসেছে। তারা কাজ না করলে তাদের পাসপোর্ট ভিসা সব কেড়ে নেয় এবং সেখানে তাদের গৃহবন্দী করে রাখে । পরিবারে খবর আসতেই পরিবারের লোকজন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। সমস্ত বিষয়টি পূর্ণেন্দু বৈরাগীর ভাই বিকাশ বৈরাগী জানালেন। তিনি আরো জানালেন যে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা খরচ করে বাড়ির জমি জায়গা বন্ধক ও সোনা দানা বিক্রি করে দাদাকে ভালো কাজের জন্য দুবাই পাঠানো হয়েছিল । কিন্তু এখন সেখানে দাদা সহ আরো বেশ কয়েকজন গৃহবন্দী হয়ে রয়েছেন তাদের ভিসা পাসপোর্ট আটকে রাখা হয়েছে।। সরকারের কাছে দাবি যে তার দাদাকে সুস্থ শরীরে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসা হোক। পরিবারের লোক কি করবেন তা বুঝতে পারছেন না। পূর্ণেন্দু বৈরাগী প্রায় 6 দিন থেকেই গৃহবন্দী হয়ে আছেন এবং তারা আতঙ্কে রয়েছেন যে তারা আদেও বাড়ি ফিরতে পারবেন কিনা । পূর্ণেন্দু বৈরাগী বাড়িতে তার স্ত্রী দেবী বৈরাগী বড় মেয়ে প্রিয়তমা বৈরাগী ছোট মেয়ে দিয়া বৈরাগী ও চার বছরের ছেলে ঈশান বৈরাগী রয়েছে।

