Gangarampur 14 September Dakshin Dinajpur;— আরজিকর কাণ্ডের পরে বংশীহারী ও হরিরামপুরের পৃথক দুটি নাবালিকা মেয়ের ধর্ষণের ঘটনার তদন্তের গতি আনতে ১৭ ও সাত দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দিল বংশীহারী ও হরিরামপুর থানার পুলিশ।
জানা যায় গত মাসের ২৮ আগস্ট তারিখ রাতে বংশীহারী থানার বিষহরি ডাঙ্গা গ্রামের ১২ বছর বয়সের এক নাবালিকা মেয়ের সাথে যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে, শুধু যৌন নির্যাতন নয় যৌন নির্যাতনের পরে তাকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে ধর্ষক, সেই ঘটনার খবর পেয়ে বংশীহারী থানার পুলিশ ও গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য এছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গ্রামীণ ইন্দ্রজিৎ সরকার ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং নির্যাতিতা মহিলার মায়ের সাথে কথা বলে প্রায় এক ঘন্টা পরে ঘটনার মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বংশীহারী থানার পুলিশ। ঘটনায় পক্স মামলা সাথে রেপ ও মেরে ফেলার চেষ্টা সাথে এস টি এস সি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে, গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে। এছাড়াও এই ঘটনায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে একটি সিট গঠন করা হয়। যেই সিটের দায়িত্বে রয়েছে গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য, সিটের দায়িত্বে থাকা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য ধর্ষিতা মহিলা ও তার মায়ের গোপন জবানবন্দি নিয়ে আজ চার সিট তৈরি করে প্রায় ১৭ দিনের মাথায় গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হলো। পাশাপাশি হরিরামপুর থানার মুশকিপুর এলাকায় গত ৬,০৯,২০২৪ তারিখে নিজের নাবালিকা মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণের ঘটনায় বাবা ও মা দুজনকেই গ্রেফতার করেছিল হরিরামপুর থানার পুলিশ। সেই ঘটনার সাত দিনের মাথায় আজকে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে চার্জশিট জমা দিল হরিরামপুর থানার পুলিশ। জানা যায় হরিরামপুর থানার মুসকিপুর এলাকার ১২ বছরে নাবালিকা মেয়েকে তার বাবা লাগাতার ধর্ষণ করত। এরপর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে হরিরামপুর থানার পুলিশ প্রথমে নাবালিকা মেয়ের বাবাকে গ্রেফতার করে, এরপর জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ বুঝতে পারে শুধু তার বাবা নাই এই ঘটনার সাথে তার মা ও জড়িত রয়েছে, কারণ তার বাবা তাকে যখন লাগাতার ধর্ষণ করত সেই ঘটনা তার মাকে এসে জানালে তার মা কোনরকম প্রতিবাদ ও পুলিশকে না জানিয়ে চুপ করে থাকতো। এরপরে এইসব ঘটনা জানাজানি হতে নাবালিকা মেয়ের মাকেও গ্রেফতার করে হরিরামপুর থানার পুলিশ। যদিও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গ্রামীণ ইন্দ্রজিৎ সরকার জানিয়েছেন পৃথক দুটি ঘটনায় ধর্ষিতা দুইজন নাবালিকা মেয়ে বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন এবং বাড়িতে রয়েছে, প্রশাসনের কাছে তারা স্কুলে ফেরার দাবি জানালে প্রশাসন তাদের বুনিয়াদপুর এক লম্ব স্কুলে পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গ্রামীণ ইন্দ্রজিৎ সরকার জানিয়েছেন, বংশীহারী ও হরিরামপুরের পৃথক দুটি জায়গায় দুই নাবালিকা মেয়ের ধর্ষণের ঘটনায় আজকে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে চার সিট প্রেস করা হলো। ঘটনায় পুরো বিষয়টি গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এর দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানানো হলো।

