দলীয় মিটিংয়ে তৃনমূলের প্রকাশ্যে গোষ্ঠী কোন্দল,ধস্তাধস্তি!চরম উত্তেজনা হরিশ্চন্দ্রপুরে

উত্তরবঙ্গ কলকাতা খেলা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য

 

হরিশ্চন্দ্রপুর,৩০ আগস্ট :—————-
পঞ্চায়েত ভোটের পরেই দলীয় বৈঠকে অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল।মিটিংয়েই ধস্তাধস্তি তৃনমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে।একে অপরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব।এই নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে চাঁচল বিধানসভার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের পেমা কালীবাড়ি এলাকায় তৃনমূলের দলীয় মিটিংয়ে।জানা গেছে,পঞ্চায়েত ভোটে
হরিশ্চন্দ্রপুর-১(বি)ব্লকের তুলসীহাটা,
কুশিদা,রশিদাবাদ ও বরুই চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত
তৃনমূলের ছাতছাড়া হয়ে পড়েছে।ব্লক সভাপতি মানিক দাস টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের টিকিট দিয়েছিলেন বলেই এই ভরাডুবি বলে অভিযোগ দলের একাংশের।সভাপতি মানিক দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তৃনমূলের একাংশ।একজন স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে বারবার কালিমা লিপ্ত করার চেষ্টা করছে তৃণমূলের একাংশ।এই নিয়ে এদিন ওই চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃনমূলের পঞ্চায়েত মেম্বার ও তৃনমূল কর্মীদের নিয়ে দলীয় বৈঠক ডেকে ছিলেন ওই চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতিরা।মিটিং চলাকালীন বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের পেমা ৪০ নং বুথের সদস্যা রুমা পারভিন এর স্বামী নুর আজম বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি মিন্টু আলমকে অভিযোগ করে বলেন অঞ্চল চেয়ারম্যান একরামুল হককে এই মিটিংয়ে ডাকা হয়নি কেনো।এর জবাব চাইতে গিয়েই অঞ্চল সভাপতি ও অঞ্চল চেয়ারম্যান এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় ধস্তাধস্তি।এরপর চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।শেষমেষ মিটিং বানচাল করতে বাধ্য হন দলীয় নেতৃত্বরা।তবে অঞ্চল সভাপতি মিন্টু আলম অভিযোগ করে বলেন,
অঞ্চল চেয়ারম্যান একরামুল হক দল বিরোধী কর্মীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ব্লক সভাপতি মানিক দাসের বিরুদ্ধে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।যার প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে।দলের সংগঠনকে ভাঙার চক্রান্ত করছে সে।তাই ওকে এই মিটিং এ ডাকা হয়নি।অপরদিকে অঞ্চল চেয়ারম্যান একরামুল হক বলেন,২০০৮ সাল থেকে সে তৃনমূল দলটি করে আসছে।তিলে তিলে দলটিকে নিজের হাতে গড়েছে।এখন তার বিরুদ্ধে দল ভাঙার মিথ্যা অভিযোগ করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *