: বাল্যবিবাহ মুক্ত জেলা করতে সচেতনতা সভা গঙ্গারামপুর বিসরাইল হাইস্কুলে
শীতল চক্রবর্তী বালুরঘাট২ সেপ্টেম্বর। বাল্যবিবাহ, নারী পাচার, শিশু যৌন হেনস্থা, স্কুলছুট, কম বয়সে গভধারন ও সাপের কামড়ের কুসংস্কার প্রতিরোধে সচেতনতা সভার আয়োজন করা হল।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের বিসরাইল হাইস্কুলে এদিনের সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত জেলা গঠনের লক্ষে নারী মুক্তি মহিলা সমিতির উদ্যোগে এবং ব্যবস্থাপনায় একটি সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত হল বিসরাইল হাইস্কুলের প্রাঙ্গনে। প্রথমে একটি র্যালির মাধমে ওই এলাকায় বাল্যবিবাহ মুক্ত করার স্লোগান সহ সচেতনতার বার্তা দেওয়া হয়। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত জেলা করতে বিশেষ অতিথিদের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার চাইল্ড প্রোটেকশন অফিসার মাননীয়া জয়ীতা মুখার্জি এই সম্পর্কিত মুল্যবান সচেতনতার বার্তা দেন। গঙ্গারামপুর ব্লকের চালুন বি পি এইচ সি এর পি.এইচ.এন. দুলালী সাহা বাল্য বিবাহের কুফল গুলি আলোচনা করেন।এরপর একে একে প্রধান অতিথিরা প্রায় ১০০ জন গ্রামবাসী ও ৬০ জন ছাত্র-ছাত্রীর সামনে বাল্যবিবাহ, নারী পাচার, শিশু যৌন হেনস্থা ও স্কুলছুট প্রতিরোধে মুল্যবান সচেতনতার বার্তা দেন। পাশাপাশি পুষ্টি ও সাপের কামড়ের কুসংস্কার প্রতিরোধে সচেতনতার বার্তাও দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার চাইল্ড প্রোটেকশন অফিসার জয়ীতা মুখার্জি, গঙ্গারামপুর ব্লকের চালুন বিপিএইচসি এর পি.এইচ.এন- দুলালী সাহা, ব্লক এপিডেমিও লজিস্ট মলয় কুমার দাস, ও বিপিসি আশা শ্রীপদ দাস, সিএইচও, এএনএম,আশা এবং বিশ্রাইল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক উদয় কুমার ঘোষ। নারী মুক্তি মহিলা সমিতির সম্পাদক শ্রী কাঞ্চন বসাক, চিফ কো-অর্ডিনেটর শ্রী প্রণব কুমার বসাক এবং সংগঠনের দেবাশিস সরকার, গৌতম হালদার সহ অন্যান্য সদস্যগণ। এছাড়াও নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন বিসরাইল এলাকার প্রায় ১২০জন গ্রামবাসী এবং বিসরাইল হাইস্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা।
নারী মুক্তি মহিলা সমিতির সদস্যা রাখী সাহা জানান,”এই অনুষ্ঠানটি করতে পেরে আমাদের খুব ভালো লাগছে। আর কোনো বাল্যবিবাহ নারী পাচার,শিশু যৌন হেনস্থা, স্কুলছুট নয় এবং সাপের কামড়ের কুসংস্কার থেকে মুক্ত হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে যেন সকলে ভালো থাকে এই আশা রাখি।” এবিষয়ে চালুন বিপিএসসির পি.এইচ.এন দুলালী সাহা,ব্লক এপিডেমিও লজিস্ট- মলয় কুমার দাস,দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার চাইল্ড প্রটেকশন অফিসার জয়িতা মুখার্জিরা জানান,”এমন কাজ তারা সারা বছর ধরেই করে যাবেন।

