গঙ্গারামপুর,২৪ জুন :——–— তৃণমূল কংগ্রেস যতদিন থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন থাকবেন। গ্রামের সাধারন মানুষ ও মহিলারা ততদিন সুরক্ষিত থাকবেন। কারন তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের কথা ভাবে। মানুষের পাশে থাকে। কিন্তু আমাকে যারা জুতোয় তলায় রাখার কথা বলতে পারেন। তাহলে সাধারন মানুষের অবস্থা কি করতে পারে। বিজেপিকে এভাবে খোঁচা মারলেন বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।
শনিবার গঙ্গারামপুর ব্লকের দমদমা গ্রাম পঞ্চায়েতের রামচন্দ্রপুর এলাকার একটি গির্জায় মোমবাতি জ্বালিয়ে ও প্রার্থনা সেরে দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে রেলি করে ভোট প্রচার শুরু করেন বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। রেলির মাঝে কোথাও হাত জোড় করে আদিবাসী ভাষায় ভোট চান। আবার পথে দাড়িয়ে প্রবীন ও নবীন ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে রাজ্য সরকারের প্রকল্প গুলির কথা স্মরন করিয়ে মন জোগাড়ের চেষ্টা করেন।এদিন রেলিটি রামচন্দ্রপুরের আদিবাসী পাড়া,আশ্মীনপাড়া,কালদিঘি বটতলা পরিক্রমা করে। পাশাপাশি কালদিঘি রতনমালা কাশিয়াপুকুর এলাকায় পথসভা করেন। সভায় বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ছাড়াও বক্তব্য রাখেন জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমৃলের প্রবীন নেতা অঞ্জন চৌধুরি,জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আনন্দ দাস, শ্রমিক নেতা আনোয়ার হোসেন ,গঙ্গারামপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুকান্ত ভট্টাচার্য সহ আরো অনকেই। পথসভার মঞ্চ থেকে মন্ত্রী এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের প্রার্থী অঞ্জনা দেববর্মন সহ পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন,তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন থাকবেন।মহিলারা সুরক্ষিত থাকবেন। কারন তিনি মানুষের জন্য ভাবেন। মানুষের জন্য কাজ করেন। তাই তিনি দুয়ারে দুয়ারে সরকারি পরিষেবা পৌচ্ছে দিয়েছে।সবুজ সাথী,খাদ্যসাথী ও স্বাস্থ্য সাথীর ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু বিজেপি আমার মত একজন মানুষকে জুতোর তলায় রাখার কথা বলে তাহলে সাধারন মানুষকে কিভাবে ভালো রাখবে। এরা মানুষের কথা ভাবে না। ভোট এসেছে সেজন্য কিছু রাজনৈতিক দল মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ভোট আদায় করার চেষ্টা করছে। তিনি আরো বলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মানুষের সাড়া ভালো রয়েছে। সেখানে যাচ্ছি মানুষ দুইহাত তুলে আর্শিবাদ করছেন। এখন দেখার এটাই পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলে আদিবাসী এলাকায় কতটা দাগ ফেলতে পারে রাজ্যের এই মন্ত্রী সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে সকলেই।

