তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি বোমা ও গুলি! ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা গঙ্গারামপুরের নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাজিতপুর এলাকায়

উত্তরবঙ্গ কলকাতা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য

গঙ্গারামপুর ১১সেপ্টেম্বর দক্ষিণ দিনাজপুর:—–   ফের খবরের শিরোনামে গঙ্গারামপুরের নন্দনপুর।তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বচসা ,তৃণমূলের প্রধানকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ফাটানোর অভিযোগ তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাজিতপুর এলাকায়।তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, প্রধানের উপর আক্রমণ হয়েছে পুরো ঘটনা দলকে জানানো হয়েছে,যা ব্যবস্থা নেবে তার দলই নেবে।প্রাক্তন জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকার ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মী তথা নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান নুরুল ইসলামের অভিযোগ,এমন কাজ করেছে প্রাক্তন তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি মজিরুদ্দিন মন্ডল ওরফে ধলু ও তার লোকজন।থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। যদিও প্রাক্তন তৃনমূল শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি মুজিরুদ্দিন মন্ডল এর বিরুদ্ধে অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তার মোবাইল একাধিকবার ফোন ফোন করা হলেও মোবাইল বন্ধ থাকা যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে জেলা তৃণমূল সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে জানান, দল বড় হয়েছে তাই নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে। ঘটনার নিয়ে যেন আর কিছু না হয় সে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গেছে ,গঙ্গারামপুর থানার নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাজিতপুর এলাকার এক তৃণমূল কর্মী ফৌজুল মিয়া মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের একটি গ্রুপে তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা তৃণমূলের শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে একটি কুমন্তব্য করেন।যার পরেই ওই তৃণমূল কর্মীকে পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে মারধর করেন প্রাক্তন শ্রমিক নেতা মজিরুদ্দিন মণ্ডল সহ তার অনুগামীরা বলে অপরপক্ষে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর অভিযোগ করেন।এরপর বাড়িতে পৌঁছায় আহত তৃণমূল কর্মী।ঘটনার খবর পেয়ে ওই আহত তৃণমূল নেতার বাড়িতে মঙ্গলবার রাতেই তার বাড়িতে ছুটে যায় নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান নুরুল ইসলাম।
প্রাক্তন জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকার ঘনিষ্ঠ নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান নুরুল ইসলাম এর অভিযোগ, ওই কর্মীর বাড়ি থেকে ফেরার সময় রাস্তায় তাকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ফাটায় তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের প্রাক্তন জেলা সভাপতি ও তার গোষ্ঠীর লোকেরা।ঘটনায় প্রধানের কোনো আঘাত লাগেনি,তবে মঙ্গলবার রাতের ঘটনা নিয়ে বুধবার সকাল থেকে শোরগোল নন্দনপুর এলাকা জুড়ে।
ঘটনায় আহত হওয়া প্রাক্তন তৃণমূল জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার ও নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান নুরুল ইসলাম ঘনিষ্ঠ আহত তৃণমূল কর্মী ফইজুল মিয়া, ও ফৌজুল মিয়ার স্ত্রী জাসমিন আক্তার অভিযোগ করে বলেন,তৃণমূলের একটি গ্রুপে ধলুর নামে মন্তব্য করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের মারধর করা হলো। প্রধানকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছাড়া হয় । অভিযোগ জানানো হয়েছে। তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, প্রধানের উপর আক্রমণ হয়েছে পুরো ঘটনা দলকে জানানো হয়েছে,যা ব্যবস্থা নেবে দলই নেবে। প্রাক্তন জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকার ঘনিষ্ঠ নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নুরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, বোমা গুলি ফাটিয়ে এলাকা অশান্ত করতে চাইছে ঢলু। বিষয়টি জানিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সেই প্রাক্তন জেলা তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি মুজিরুদ্দিন মন্ডল ওরফে ঢলুর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি তার মোবাইল সুইচ বন্ধ থাকায়। তবে যেটা তৃণমূল সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছেন, দল বড় হয়েছে তাই নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে। উভয়পক্ষকে বলা হয়েছে এলাকার পরিস্থিতি যেন শান্ত থাকে। পুরো ঘটনা জানিয়ে উভয় পক্ষের তরফে গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ ঘটনার খবর পেয়েই সেখানে পুলিশ পিকেট বসিয়ে পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে। ফের গঙ্গারামপুরে নন্দনপুর খবরের শিরোনামে উঠে আসায় পুলিশ প্রশাসন এখন কিভাবে সেই পরিস্থিতি সামাল সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে সকলেই ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *