তৃণমূল থেকে কংগ্রেসে যোগদানকারী জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সরফরাজ আলীর হাত ধরে ৩০০টি পরিবারের ১২০০ জন তৃণমূল ছেড়ে হাত কংগ্রেসের যোগদান করলো, তৃণমূলের জেলা পরিষদের প্রার্থী পছন্দ নয়,তাই দলবদল জানালেন এলাকাবাসীরা

উত্তরবঙ্গ কলকাতা খেলা দক্ষিণবঙ্গ প্রথম পাতা বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য

 গঙ্গারামপুর ১৭ ই জুন দক্ষিণ দিনাজপুর:—– ভাঙ্গন অব্যাহত তৃণমূলে। তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ধ্বস নেমেছে তৃণমূলে।দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারী ব্লকের নয়াপাড়া এলাকায় জাতীয় কংগ্রেসের জেলা পরিষদের ২১ নম্বর আসনের কংগ্রেস প্রার্থী সরফরাজ আলীর হাত ধরে প্রায় ৩০০ পরিবারের ১২০০জন যোগদান করল তৃণমূল ছেড়ে হাত কংগ্রেসে।মূলত তৃণমূলের প্রার্থী পছন্দ না হওয়ার কারণেই তৃণমূলের এই ভাঙ্গন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
শনিবার রাতে বংশীহারী ব্লকের নয়াপাড়া এলাকায় এক সভমঞ্চ থেকে গ্রামের প্রায় ৩০০টি পরিবারের প্রায় ১২০০জন হাত কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নিল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের বংশীহারী ব্লকের ২১নং আসনের কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী সরফরাজ আলীর হাত ধরে।গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন,বিগত দিনে বহু দুর্নীতি ও যারা গত বিধানসভা নির্বাচনে যারা বিজেপির হয়ে ভোট করেছেন তৃণমূল তাদেরকে আবার প্রার্থী করেছে। সেই জন্যই তারা তৃণমূল থেকে কংগ্রেসে যোগদান করলেন।
এবিষয়ে তৃণমূল থেকে কংগ্রেসে আসা এক যোগদানকারী মোকতাদুল করিম জানিয়েছেন, তৃণমূল এবার পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদে যাদের প্রার্থী করেছে তারা ২০২১এর বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে ভোট করিয়েছে। এছাড়াও তারা বহু দুর্নীতির সাথে যুক্ত।তাই আমরা দুর্নীতি মুক্ত জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত গড়তেই আমাদের জেলা পরিষদের প্রার্থী সরফরাজ আলীর হাত ধরে জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করলাম।
এবিষয়ে জেলা পরিষদের ২১ নম্বর আসনের কংগ্রেস প্রার্থী সরফরাজ আলি জানিয়েছেন, আমরা বংশীহারী ব্লকের নয়াপাড়া এলাকায় একটি পথসভায় যোগ দিতে এসেছি। সেই পথসভাতেই নয়াপাড়া গ্রামের প্রায় ৩০০ পরিবারের ১২০০জন তৃণমূল থেকে জাতীয় কংগ্রেসের যোগদান করলেন। আমরা তাদের জাতীয় কংগ্রেসে স্বাগত জানালাম। আগামী দিনে তৃণমূল থেকে আরও বহু পরিবার কংগ্রেসের যোগদান করবেন বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস প্রার্থী সরফরাজ আলী। প্রার্থী পথ নিয়ে যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাঙ্গন ধরিয়েছে সদ্য তৃণমূল থেকে কংগ্রেসে যোগদান করা সরফরাজ আলী তাতে সরফরাজ বাবুর ২১নম্বর আসনে জয়লাভ করা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছে রাজনীতি মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *