তীব্র গরমে স্কুল চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়ল কালচিনি ব্লকের একাধিক স্কুলের প্রায় দশজন ছাত্রী

উত্তরবঙ্গ কলকাতা খেলা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য

কালচিনি:——————– তীব্র গরমে স্কুল চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়ল কালচিনি ব্লকের একাধিক স্কুলের প্রায় দশজন ছাত্রী । তারমধ্যে ছয়জন বর্তমানে চিকিৎসাধীন এবং তিনজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় অলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। সম্প্রতি একনাগাড়ে বৃষ্টির পর বর্তমানে রোদে পুড়ছে কালচিনি ব্লকের বাসিন্দারা। প্রতিদিনই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলিসিয়াস । এরূপ পরিস্থিতিতে প্রায় দেড় মাস স্কুল ছুটি থাকার পর সম্প্রতি জুন মাসে তা খুলেছে। আর এই স্কুল খোলার পরই বর্তমানে তীব্র গরমে অসুস্থ হচ্ছেন স্কুল পড়ুয়ারা।এদিন ব্লকের পিসি মিত্তাল, হ্যামিল্টনগঞ্জ হাই স্কুল সহ একাধিক স্কুলের প্রায় দশ জন ছাত্রী। সকলের মধ্যেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা যায়।এরপর স্কুল কতৃপক্ষের তরফে তাদের তড়িঘড়ি লতবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে এলে তিনজনকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং বাকি ছয়জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।এরমধ্যে এক নবম শ্রেণীর ছাত্রীর পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকায়, তারা অসুস্থ ছাত্রীকে আলিপুরদুয়ারে নিয়ে যেতে পারছিলেন না। সে সময় তাদের কাছের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।এ বিষয়ে পিসি মিত্তাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক সমীর কুমার দেব জানান, এদিন আমাদের এক নবম শ্রেণীর ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে।এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি এবং তাকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিই।’ মূলত তীব্র গরমে এরূপ সমস্যা হচ্ছে বলে মত চিকিৎসকের। এ বিষয়ে লতবাড়ি গ্রামীন হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার অর্নব কোলে বলেন, ‘সম্প্রতি কিছুদিন ধরে স্কুল পড়ুয়া গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।এদিন অন্যদিনের তুলনায় পড়ুয়াদের সংখ্যা বেশি। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় এমনটা হচ্ছে।’

অপরদিকে, এই সময় স্কুলে গরমের ছুটির দাবি জানাচ্ছেন পড়ুয়াদের পাশাপাশি অভিভাবকরা। একাধিক অভিভাবকদের দাবি, ‘আমদের যে সময় গরমের ছুটি দেওয়া হয়েছিল, সে সময় না দিয়ে এখন দিলে অনেক ভালো হত।’ তারা জানান, ‘আমাদের এখানের স্কুলগুলোতে অনেক দূর দূর চা বাগান, বনবস্তি, প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা আসেন, এই গরমে নাজেহাল অবস্থা তাদের। অধিকাংশরই এই দাবদাহের কারনে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *