পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২১ অক্টোবর ——- ডেঙ্গির আতঙ্কে দিন কাটছে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের। বাড়ছে ঘরে ঘরে জ্বরের প্রাদুর্ভাবও। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি বালুরঘাট ব্লকের সীমান্তবর্তী গ্রাম কিসমত রামকৃষ্ণপুর ও শিয়ালা গ্রামের। পঞ্চায়েত সুত্রের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যে ওই দুটি গ্রামে প্রায় ১৬ জন বাসিন্দা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। যাদের অনেকেই ভর্তি রয়েছে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবছর এই অঞ্চলে ডেঙ্গি মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়লেও প্রশাসনের তরফে কোনো সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। যার ফলে পুজোতেও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে এলাকাবাসীরা।
গ্রামবাসীদের আরো অভিযোগ, মশার প্রকোপ ঠেকাতে পঞ্চায়েত বা স্বাস্থ্য দফতর তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি এলাকায়। শুধু তাই নয়, নিয়মিত মশা মারার ওষুধ ছিটানো এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থাও উন্নত হয়নি গ্রাম গুলিতে। সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারও যথাযথভাবে হয়নি বলে বাসিন্দারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, প্রশাসনের এই উদাসীনতা এলাকাবাসীর জীবনকে প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল দাস বলেন, আক্রান্তর সংখ্যা বেড়েছে। স্বাস্থ্যকর্মী ও আশাকর্মীরাও ঘুরছে এলাকায়। কিন্তু ডেঙ্গু আক্রান্তর প্রকৃত সংখ্যা যেমন তাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়, তেমনি চিকিৎসা কি চলছে সেটাও তাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়।
তবে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ছন্দা শীল ও আশাকর্মী শর্মিলা পালের দাবি, পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। তারা জানিয়েছেন, গ্রামে মশা নিধনের কার্যক্রম চলছে। পাশাপাশি গ্রামবাসীদের মশারি ব্যবহার এবং সচেতন থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া স্বাস্থ্য দফতর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু এসবের পরেও যেন গ্রামবাসীদের মধ্যে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। প্রশাসনের সঠিক ও তড়িত পদক্ষেপের অভাবে ডেঙ্গির প্রকোপ যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায়, সেই আশঙ্কা নিয়ে দিন গুনছেন তারা। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এই আতঙ্ক আরও বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

