বালুরঘাট, ২৪ নভেম্বর —–– চিঙ্গিশপুরে ফের ডেঙ্গুর তাণ্ডব! অজানা জ্বরে প্রাণ হারালেন ২৬ বছরের তরুণী নার্স ছন্দা বর্মন। সরকারি হাসপাতালের কর্মী ছন্দা শুক্রবারও জ্বর নিয়ে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পরদিন অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয় বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। রবিবার সন্ধ্যায় সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ছন্দার শরীরে প্লেটলেটের সংখ্যা নেমে এসেছিল ৪০ হাজারের নিচে। যদিও মৃত্যুর কারণ ডেঙ্গু কি না, তা নিশ্চিত করতে রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে ছন্দার এই অকালমৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সহকর্মী থেকে গ্রামবাসীদের মধ্যে। এদিন এই ঘটনার পর থেকেই চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আলিপুর অঞ্চলে ভয় ও উদ্বেগের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, এলাকায় মশার প্রকোপ পুজোর পর থেকে কয়েক গুন বেড়ে গিয়েছে, অথচ মশা নিধনের তেমন কোনও কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি। যা নিয়েই তারা দ্রুত সাফাই অভিযান চালানোর দাবি তুলেছেন। তবে ছন্দার মৃত্যু গ্রামবাসীদের মনে বড়সড় প্রশ্ন তুলেছে—ডেঙ্গুর ভয়াবহতা কি তবে আরও বাড়তে চলেছে?
এদিকে, ছন্দার মৃত্যু শুধুমাত্র এক নার্সের হারিয়ে যাওয়ার গল্প নয়, বরং এটি সরকারি হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের ঝুঁকির বিরুদ্ধে এক করুণ সতর্কবার্তা। এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক যেমন বাড়ছে, তেমনই সঠিক পদক্ষেপের দাবি ক্রমেই জোরালো হচ্ছে।
মৃতার আত্মীয় মন্দিরা বর্মন বলেন, একবছরেরও বেশি সময় ধরে বালুরঘাট হাসপাতালে নার্স হিসাবে কর্মরত ছিল ছন্দা। জ্বর নিয়ে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। এদিন সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়েছে। তবে ছন্দার শরীরে প্লেটলেট প্রায় ৬০ হাজার কমে গিয়েছিল। যেটা ডেঙ্গু কিনা তা নিশ্চিত হবে রিপোর্ট হাতে পেলে।

