গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী বংশীহারী স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর শহরের পাঁচ নাম্বার ওয়ার্ড হলদী এলাকার ঘটনা।

উত্তরবঙ্গ কলকাতা খেলা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত ওই একাদশ শ্রেণীর ছাত্রীর নাম জয়নাব খাতুন বয়স ১৭ বছর। বংশীহারী স্কুলের একাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করতেন এই স্কুল ছাত্রী। পিতার নাম জরিপ হোসেন, বাড়ি বুনিয়াদপুর শহরের পাঁচ নাম্বার ওয়ার্ড হলদি এলাকায়। পেশায় তিনি কৃষকের কাজ করেন। বাবা দুপুরবেলা জমিতে গিয়েছিলেন ও মা মিড ডে মিলের রান্না করতে বংশীহারী স্কুলে গিয়েছিলেন। ফাঁকা বাড়ির সুযোগে নিজের বাড়ির সঙ্গে লাগানো গুয়াল ঘরে নিজের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছিল। দুপুর আনুমানিক দুইটা নাগাদ বাবা জমি থেকে ফিরে এসে লক্ষ্য করেন বাড়িতে কেউ নেই। তৎক্ষণাৎ চোখ পড়ে গোয়াল ঘরে মেয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। ক্ষণিকের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় মুহূর্তের মুহূর্তে এলাকার মানুষজন ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। পুরো ঘটনার খবর দেওয়া হয় বংশীহারী থানায়। পরিবারের সহযোগিতায় তৎক্ষণাৎ একাদশ শ্রেণীর ছাত্রীকে নিয়ে আসা হয় রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে এলাকা থেকে ছুটে আসছেন রশিদপুর হাসপাতালে বংশীহারী স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী জয়নাব খাতুনকে দেখতে।সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত ওই মেয়ের বিয়ের কথাবার্তা চলছিল বংশীহারী থানার অন্তর্গত হেতম পাড়ার গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে। কিন্তু কি কারণে এরকম দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো পরিবারের মানুষজনদের কাছে অজানা।

এই বিষয়ে মৃত স্কুল ছাত্রীর আত্মীয় হুসেন মিয়া জানিয়েছেন দুপুর বেলা বাড়িতে কেই ছিল না। সেই ফাঁকা বাড়ির সুজকে বাড়ির সঙ্গে লাগানো গুয়াল ঘরে নিজের ওড়না দিয়ে গোলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে আমার ভাগ্নি জাইনাব খাতুন। তবে কি কারণে এরকম দুর্ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা এখনও আমরা জানি না।

পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়ে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *