গত বিধানসভা নির্বাচনে হরিরামপুর বিধানসভার বুনিয়াদপুরে যারা বিজেপি হয়ে ভোট করিয়েছে তাদেরকেই দল পঞ্চায়েত ভোটে জেলা পরিষদের আসনে প্রার্থী করেছে তৃণমূল,অভিমানে দল ছেড়ে কংগ্রেসের টিকিট নিয়ে প্রাথী হলেন জেলা তৃণমূল নেতা সরফরাজ, জেলাতে শোরগোল। দলছুটেরা জিতলেও দলে দেওয়া হবে না জানালেন জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃণাল

উত্তরবঙ্গ কলকাতা খেলা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য

 গঙ্গারামপুর ১৬ জুন দক্ষিণ দিনাজপুর :——–-যারা বিগত নির্বাচন গুলিতে হরিরামপুর বিধানসভার বুনিয়াদপুরে বিজেপি দল করেছে তাদেরই পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট দিয়েছি ,সেই কারণে জেলা তৃণমূলের সম্পাদক তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করলেন।তবে পুরস্কার হিসেবে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব তাকে তার মন পছন্দের জেলা পরিষদ আসন থেকে জেলা পরিষদে প্রার্থী করেছে।ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী ব্লক এলাকার সরফরাজ আহম্মেদ নামে ওই তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসের যোগ দেওয়া জেলা পরিষদের কংগ্রেস প্রার্থী জানালে,বিগত নির্বাচন গুলিতে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে তাদেরকে দল প্রার্থী করেছে তাই দল ছাড়লাম।যদিও যেটা তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকার জানালেন ,দল যাকে প্রার্থী করেছে তাকেই ভোট জিতাতে হবে।কে কোথায় ভোটে দাঁড়ালো তা নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।তবে দলে মতবিরোধ থাকলে দলে আলোচনা করতেই পারত।ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। বংশীহারী ব্লকের বাসিন্দা পেশায় ব্যাবসায়ী শরফরাজ আহম্মেদ বহুদিন ধরেই তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। তিনি প্রাক্তন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা প্রাপ্তর বিধায়ক গৌতম দাস ও জেলা তৃণমূলের সভাপতি সরকার পরিচিত মৃণাল সরকার ঘনিষ্ট বলেই পরিচিত।এবার তিনি রাজনীতি করার সুবাদে বংশীহারী ব্লকের জেলা পরিষদের আসনে প্রার্থী হবার কথা ছিল। কিন্তু ১৪জুন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জেলা পরিষদের যে ২১টি আসনে নামের তালিকা প্রকাশ করা হয় সেখানে রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ তথা গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুনিয়াদপুর থেকেই জয়ী প্রার্থী রফিকুল ইসলাম,ও আর এক জেলা পরিষদ আসনের প্রার্থী মন্ত্রী ঘনিষ্ট সুভাস ভাওয়ালের নাম আসে। এতেই চরম ক্ষুব্ধ হন জেলা তৃণমূলের সম্পাদক পদে থাকা ব্যবসায়ী সরফরাজ আহম্মেদ। জেলা কংগ্রেস সূত্রে খবর, সরফরাজ আহম্মেদকে দলে যোগদান করিয়ে তাকে বুনিয়াদপুর থেকেই জেলা পরিষদের প্রার্থী করা হয়েছে। তিনি কংগ্রেসের প্রতীকে জয়লাভ করবেন বলে আশা করেছেন।একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসের যোগ দেওয়া সরফরাজ আহম্মেদ দল বদলের পরেই যোগদান করেই বুনিয়াদপুর মহকুমা শাসকের দপ্তরে জেলা পরিষদের আসনে প্রাথী জয়লাভ করেন। পরে দলত্যাগী সরফরাজ আহম্মেদ বলেন,যারা বিগত ভোট গুলিতে বিজেপির হয়ে কাজ করেছে তাদেরকেই তৃণমূল জেলা পরিষদের প্রার্থী করেছে। সেই কারণেই তৃণমূল দল ছাড়লাম ।জেলা পরিষদের আসনে কংগ্রেস আমাকে প্রার্থী দিয়েছে জয়লাভ করবই। জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকার জানিয়েছেন,দলে প্রাথী পদ নিয়ে সমস্যা থাকতেই পারে,তাহলে আলোচনা করা mযেতেই পারতো।তবে অন্য দলে গিয়ে ভোটে জিতলেও শাসক দলে যোগ দেওয়া হবে না। গঙ্গারামপুরে তৃণমূলের নবজোয়ার অনুষ্ঠান রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসে বলেই দিয়েছেন,তাহলে যাকে দল প্রার্থী করবে তাকে জয় লাভ করাতে হবে।অন্য দলে গিয়ে বসে জিতলেও তাকে দলে ফেরত নেওয়া হবে না। এখন দেখার বিষয় এটাই আগামী দিনে বহু দলছুট তৃণমূল নেতা কর্মীরা অন্য দলে গিয়ে বা নির্দলে ভোটে দাঁড়িয়ে ভোটে জিতলে তাদের দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয় কিনা সেটাই এখন দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *