গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালের কালদিঘিতে রক্ত বিক্রি নিয়ে দালাল চক্র সক্রিয়, তৃণমূল নেতা অভিযুক্তকে পুলিশে দিলেন

উত্তরবঙ্গ কলকাতা খেলা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য

গঙ্গারামপুর ৫ মার্চ দক্ষিণ দিনাজপুর———————–খোদ সরকারি হাসপাতালে রক্ত বিক্রি নিয়ে দালাল চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এক মহিলার সহযোগীতায় এলাকার যুব তৃণমূল নেতা হাতেনাথে ওই রক্ত বিক্রি করার চক্রের এক পান্ডাকে ধরে ফলে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারারপুর মহকুমা হাসপাতালের কালদিঘীতে। এমন ঘটনায় ব্যপক শোরগোল পরেছে এলাকাজুড়ে।ঘটনা জানতে পেরেই কড়াহাথে মোকাবিলা করার আশ্বাস দেন মুখ্যস্বাস্থ আধিকারিক। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ।
গঙ্গারামপুর থানা সুত্রে যানা গিয়েছে, টাকা নিয়ে গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে রোগী ও তাদের আত্মীয় স্বজনদের রক্ত পাইয়ে দেবার অভিযোগে আটক হওয়া অভিযুক্তের নাম তাপস পাল।তাঁর পুরনো বাড়ি কুমারগঞ্জ থানার গোপালপুরের বালুপাড়াতে হলেও এখন সে গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৬নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লী বিডিও অফিসমোড় এলাকায় থাকেন। কয়েকমাস আগে শোভা মিত্র নামে গঙ্গারামপুর থানার আশ্বিনপাড়া এলাকার গৃহবধূ তাঁর এক নিকট আত্মীয় জন্য রক্ত নিতে গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে ছুটে আসেন। এদিকে হাসপাতাল গুলিতে যেভাবে রক্ত সংকট চলছে সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেনী দালালচক্র এমন কাজ করে যাচ্ছে বলে গৃহবধু শোভা মিত্রের অভিযোগ। অভিযুক্ত তাপস পাল তাকে হাসপাতাল থেকে রক্ত দেবে বলে ২ হাজার টাকা নিয়ে নেয়।এর পরে সে সেখান থেকে রক্ত না দিয়েই পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার ওই অভিযুক্ত আবার হাসপাতলে রক্ত দেবে বলে আরো একজনের কাছ থেকে টাকা নেয় বলে অভিযোগ ওঠে। তখন তাঁকে ধরে এলাকার তৃণমূল নেতাকে খবর দেয়।
মনোরঞ্জন মাহাত নামে গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে পরিষেবা নেওয়া এক যুবক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে রক্ত কেনাবেচার অভিযোগ করেন।
এমন ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন জেলা তৃণমূলের অন্যতম নেতা তথা রবীন্দ্রস্মৃতী বিদ্যাপীঠের পরিচালন সমিতির সভাপতি অনোয়ার হোসেন। পরে তিনি জানিয়েছেন, এমন বিষয় কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই অভিযুক্তরে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থানিক সেই দাবি জানাই। যদিও অভিযুক্ত ক্যামেরার সামনে কোন কিছু বলতে রাজি হননি।
জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ-সুদীপ দাস জানিয়েছেন, ঘটনাটি আপনার কাছে জানতে পারলাম,কড়া হাতে এমন ঘটনার মকাবিলা করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *