ইলেকট্রিক শক খেয়ে মৃত্যু হল বাবা ও ছেলের। ঘটনায় গুরুতর আহত হলেন বাড়ির গৃহবধূও। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে।বুধবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১১নম্বর ওয়ার্ডের হাইস্কুল পাড়া এলাকায়। ঘটনার খবর পেতে এলাকায় ছুটে যান গঙ্গারামপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা জেলা তৃণমূলের মিডিয়া কনভেনার জয়ন্ত কুমার দাস ও জেলা সিপিএমের সম্পাদক নারায়ন বিশ্বাসও।ওই পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তারা।ঘটনায় পরিবারসহ এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গঙ্গারামপুর থানা পুলিশ জানিয়েছে বাড়িতে ওই ব্যক্তির নাম তপন ব্যানার্জি বয়স (৬৫) বছর, তার ছেলের নাম তন্ময় ব্যানার্জি (৩২) বছর। ইলেকট্রিক শক খেয়ে গুরুত্ব ভাবে আহত হয়ে মৃত তপন ব্যানার্জীর স্ত্রী তাপসী ব্যানার্জিও গঙ্গারামপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এলাকাবাসীদের কাছ থেকে জানা গেছে, এদিন দুপুরে বৃষ্টি হতেই তাদের পরিবারে ইলেকট্রিক তার ছিড়ে ঘর শক হয়ে যায়। ঘটনার পরিবারের কেউ বুঝতে পারেনি বলে এলাকার প্রতিবেশীরা জানান। প্রথমে তপন ব্যানার্জি ইলেকট্রিকের শক খেলে তার স্ত্রী সেই বিষয়টি দেখতে পেয়ে তাকে বাঁচাতে যান। এরপরে তিনিও ইলেকট্রিক শক খেয়ে গুরুতর ভাবে আহত হয়। ঘটনা দেখার পরে তার ছেলে তন্ময় ও বাবাকে বাঁচাতে গেলে সেও ইলেকট্রিকের শক খায়। পরে তাদের গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তপন ব্যানার্জি ও তার বাবা তপন ব্যানার্জিকে মৃত বলে ঘোষণা করে। গুরুতরভাবে আহত হয়ে তার ছেলে তন্ময় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতাল। এলাকার প্রতিবেশীরা তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। এলাকার এক প্রতিবেশী জানালেন, বহু চেষ্টা করলাম প্রতিবেশীদের বাঁচানো কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুই করতে পারলাম না। ওরা যেভাবে আমাদের ছেড়ে চলে যাবে সেটা উঠতেই পারছি না। এমন ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই সেখানে গঙ্গারামপুর দমকল বাহিনী এসে হাজির হয়। গঙ্গারামপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা জেলা তৃণমূলের মিডিয়া কনভেনার জয়ন্ত কুমার দাস বিষয়টি জানতে পেরেই তড়িঘড়ি হাসপাতাল ও তার বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান। জয়ন্ত বাবু জানান, বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে ছুটে আসা হয়েছে। সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি পৌরসভা থেকে যা সহযোগিতা পায় তাদের দেবার চেষ্টা করা হবে। এমন ঘটনার খবর পেতে সেখানে ছুটে আসে সিপিএমের জেলা সম্পাদক নারায়ন বিশ্বাস। পরে নারায়ণ বাবু হাসপাতাল ও তার পরিবারের ছুটে গিয়ে সমবেদনা জানান। সিপিএমের জেলা সম্পাদন নারায়ন বিশ্বাস জানিয়েছেন, বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালেও পরিবারের ছুটে এসে তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো হয়েছে। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। ঘটনার খবর পেতেই সেখানে ছুটে আসে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশও। তারা এসে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করে। গঙ্গারামপুর থানার আইসি জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

