গঙ্গারামপুর ১৭ই এপ্রিল দক্ষিণ দিনাজপুর : ———- ইটভাটাতে কাজ করার সময় এক কিশোর নিখোঁজ আবার ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।সে স্থানীয় শুকদেবপুর হাইস্কুলে বছরেও অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।প্রায় ২৪দিন পরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার সিংফড়কা এলাকাতে পুলিশ কুকুর নামিয়ে তদন্ত করা হলো কিশোর উদ্ধারের জন্য প্রাথমিকভাবে ওই কিশোরের সঙ্গে তার বাবা ,মা মোবাইল নিয়ে ছেলের সঙ্গে ঝামেলার ঘটনার কথা বললেও মুক্তিপণের কথা বলার পরে বিষয়টিকেও ভাবাচ্ছে পুলিশ। রবিবার জেলা পুলিশ প্রশাসনের তরফে গঙ্গারামপুর থানার আইসি, সাবইন্সপেক্টর সহ ওই এলাকায় পুলিশ কুকুর নিয়ে গিয়ে তদন্ত করেন। নিখোজ কিশোরের মা ও মামা জানান,ফোন করে মুক্তিপণ চেয়েছে বলে সে কথা স্বীকার করেছে। ইটভাটার মালিক ও এলাকাবাসীরাও বিষয়টি জানেন যা তারা জানান। পুলিশ অবশ্য ঘটনায় একজনকে আটক করে পুরো ঘটনার তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে। গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, শুকদেবপুর এলাকার বাসিন্দা পবিত্র রায় পেশায় ইটভাটা শ্রমিক। তার স্ত্রী টুম্পা রায় ও ইটভাটাতে ইট তৈরীর কাজ করেন বহুদিন ধরেই। পরিবারে রয়েছে মেয়ে প্রিয়াঙ্কা সে সুকদেবপুর হাই স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে সে। একমাত্র ছেলে শঙ্কু রায় এবছর সুকদেবপুর হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র।ছোট মেয়ে পিংকি স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে।স্থানীয় সিংফড়কার এলাকার একটি ইটভাটাতেই স্ত্রী,নিজে,ও একমাত্র ছেলে শঙ্কু রায়কে নিয়ে তারা ইট তৈরীর কাজ করতেন।প্রায় ২৪ দিন আগে সে ওই এলাকার একটি ইটভাটা থেকে কাজ করার সময় প্রথমে মোবাইল নিয়ে শঙ্কুর বাবা ও মায়ের সঙ্গে ঝামেলা লাগে ওই কিশোরের বলে খবর। এরপরে সে ইটভাটা থেকে কাউকে কিছু না বলে সেখান থেকে চলে যায়।পরিবারের লোকজন বহু জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরেও তাকে আর খুঁজে পায়নি বলে তারা জানিয়েছেন। কোন উপায় না দেখে শঙ্কুর বাবা পবিত্র রায় ও তার শ্রী টুম্পা রায়কে নিয়ে গিয়ে গঙ্গারামপুর থানায় কিশোর ছেলের নিখোজ যাওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন।ঘটনায় পুলিশের তদন্তে নামে। কিন্তু ওই কিশোরের কাছে মোবাইল ফোন না থাকায় তার খোঁজ চালাতে অসুবিধার মধ্যে পরে পুলিশ প্রশাসন বলে সূত্র জানা গেছে। নিখোঁজ শঙ্কু রায়ের মা টুম্পা রায় ও তার মামা অভিযোগ করে বলেন, নিখোঁজ হওয়া রাত্রিতেই একটি ফোন আসে ,সেখানেই প্রথমে পাঁচ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।যা পরে এক লক্ষ টাকায় ঠিক হয়।তারা তাদের ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আশায় সমস্ত প্রমাণ তুলে দিয়েছে থানা পুলিশের হাতে। গঙ্গারামপুর থানা পুলিশের তরফে দিন আইসি শান্তর মিত্র,থানার সাবইন্সপেক্টর সমীর কর্মকার সহ বালুরঘাট থেকে টিম নিয়ে গিয়ে পুলিশ কুকুর এলাকায় ওই কিশোর কোথায় গিয়েছে তার গতিবিধি বের করার চেষ্টা করেন। যে সমস্ত জিনিসপত্র গুলি ওই কিশোর নিখোঁজ হওয়ার আগে ব্যবহার করেছে সেগুলিকে কুকুরকে শুকিয়ে তদন্ত আগানোর চেষ্টাও করেন গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। ইটভাটার মালিক জানিয়েছেন, বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গেই প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।এমনকি মুক্তিপনের বিষয়টিও জানানো হয়েছে। আমরা চাই আমাদের ছেলেটি ফিরে আসুক।অনেকের মনেই কৌতুহল রয়েছে কি হবে । এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ঘটনা ঘটার পর থেকেই আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি।এই বুঝি আরো কোনো ঘটনা ঘটে যায় নাকি। তবে পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে আশা করছি তারা কিশোরকে খুঁজে বের করবেই। এদিন পুলিশ কুকুর নামিয়ে শেষ পর্যন্ত তদন্ত কতটা আগালো সম্ভব হল অনেকের মনে প্রশ্ন থাকলেও রাত আশাবাদী পুলিশ কিছু একটা করবেই। তবে জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন,পুলিশ দায়িত্ব সঙ্গে কাজ করছে।একজনকে আটক করা হয়েছে।পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে।

