গঙ্গারামপুরে ব্লকের চৌধুরীপাড়া নদী বাঁধে ফাঁটল ।বর্ষার শুরুতেই উত্তেজনা এলাকায় ।ফসলে ক্ষতির আশঙ্কা বাসিন্দাদের।এলাকায় পৌছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন বিডিও।পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে প্রশাসন   

উত্তরবঙ্গ কলকাতা খেলা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য

গঙ্গারামপুর ২১ জুন দক্ষিণ দিনাজপুর——————– প্রতিবছরের মত নিয়ম করে নদীভাগ ভাঙ্গনের ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়েছে। বৃহস্পতিবার রাত্রে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকে সুকদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হোসেনপুর এলাকায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ প্রশাসন সঠিকভাবে ব্যবস্থা নিলেই প্রতিবছর এমন সমস্যা তাদের পড়তে হতো না। তারা চান সমস্যার স্থায়ী সমাধান।প্রশাসনিক তরফে সমস্যা সমাধানের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বর্ষার শুরুতেই গঙ্গারামপুরে ব্লকের শুকদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে চৌধুরীপাড়া নদী বাঁধে ফাঁটল দেখা দেওয়ায় এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কের মধ্যে পড়েছেন। নিয়ম করে প্রতিবছরের মত এবছরও ভাঙ্গনের পরে এবারেও এমন ঘটনায় আতঙ্কিত কিসি জিবি এলাকার বাসিন্দারা। এই ঘটনায় পুনর্ভবা নদীর জল ঢুকে প্লাবিত হয়েছে শুকদেবপুর  পঞ্চায়েতার এলাকার দাসপাড়া, হোসেনপুরের তিনটি গ্রাম, কাটাবোন সহ আশপাশের গঙ্গারামপুর ব্লকের বাকি চার-পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশকিছু গ্রাম। পাশাপাশি চাষের জমিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে বাসিন্দাদের বলেও তারা দাবি করেন। সামান্য বৃষ্টিতে এমন বাঁধে ফাটল ধরায় গত বছরের মধ্যে এবছরও তৈরী হয়েছে বন্যার আশঙ্কাও এলাকাবাসীদের।

সুকদেবপুর পঞ্চায়েতের হোসেনপুর সহ প্রভাবিত গ্রামের মানুষজন মূলত কৃষিকাজের সাথে যুক্ত।ফলে প্রতিবছর বর্ষার সময় বন্যার আতঙ্কে থাকেন তাঁরা। গত বছর নদী বাঁধে ভাঙ্গনের পর এবারেও ফাটল দেখা দেওয়ায় দুশ্চিন্তায় পরেছেন সকলেই।বৃহস্পতিবার রাতে বাঁধের একপাশে সামান্য ফাটল দেখা দেয়। যা এদিন শুক্রবার সকাল হতেই বড় ভাঙ্গনের মুখে পড়ে নদীবাঁধটি।যার পরেই বাসিন্দারা তা বন্ধ করার চেষ্টা শুরু করেন। নিজেরাই বস্তা, বাঁশ, গাছ গাছের ডাল, সহ প্রভৃতি দিয়ে মেরামতির কাজ শুরু করেন ।এদিন ঘটনাস্থলে পৌছান গঙ্গারামপুর ব্লকের বিডিও অর্পিতা ঘোষাল,সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় হাত লাগায় প্রশাসন । ঘটনাস্থলে ছুটে যান ব্লক কৃষি দপ্তরের আধিকারি সুদীপ্ত সরকারও।এই ঘটনায় কয়েক লক্ষ টাকার ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা ।       এলাকাবাসী আনসার আলী, মোকলেসুর মিয়া, রাসেল চৌধুরী, মন্টূ সোরেনরা জানিয়েছেন, বছর বছর এমন ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন কেন সঠিক ভাবে বিষয়টি দেখছেনা ।তাঁরা চান এই ঘটনার স্থায়ী সমাধান ।

গঙ্গারামপুর ব্লকের বিডিও অর্পিতা ঘোষাল জানিয়েছেন, তৎপরতার সাথে কাজ চলছে।পুলিশ মোতায়েন করে বাসিন্দাদের সাথে থাকার বার্তা দিয়েছে প্রশাসন।    এখন দেখার বিষয় এটাই আদতেও এলাকার গ্রামবাসীদের প্রতিবছরের মতো ওই নদী বাঁধ ভাঙ্গন স্থায়ীভাবে সারাই করতে কি পদক্ষেপ নেয় গঙ্গারামপুরের প্রশাসন তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে সকলেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *