গঙ্গারামপুর,২৮ নভেম্বর দক্ষিণ দিনাজপুর : অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক গৃহবধূর। ঘটনায় গৃহবধূকে মেরে ফেলার অভিযোগ তুলেছে পরিবারের লোকজন। তপন থানার রামপুর এলাকার তরুণী নাসিমা আক্তার খাতুন। প্রায় এক বছর আগে নাসিমার সঙ্গে থানার শ্যামপুর গ্রামের তরুণ রিপন আলি সরকারের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর সব ঠিকঠাক চলছিল। বুধবার গৃহবধূর ভাই মেহুবুব সরকার শ্যামপুর দিদির বাড়িতে আসে। রাতে সকলে এক সঙ্গে খাবার খায়। রাতে খাবার শেষ হতে মোবাইল দেখা নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় বিবাদ। সকালে রান্নার জন্য তোড়জোড় চলছিল। তার মাঝে ঘর থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তড়িঘড়ি গৃহবধূকে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানিয়ে দেয়। ঘটনার পর মৃতের পরিবারের লোকজন মেরে ঝুলিয়ে দেবার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে। যদিও খবর লেখা পর্যন্ত এবিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্তের পর দেহটি ময়না তদন্তের জন্য বালুরঘাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম নাসিমা আক্তার খাতুন (১৯)। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার শ্যামপুর গ্রামে।
মৃতের ভাই মেহুবুব সরকার অভিযোগ করে বলেন গতকাল রাতে শ্যামপুরে দিদির বাড়িতে এসেছিলাম। রাতে খাবার খেয়ে আমি পাশের ঘরে ঘুমাতে যাই। সেসময় দিদি জামাই বাবুর তর্ক শুনতে পাই। সে সময় জামাই বাবু দিদিকে হুমকি দেয় সকালে ব্যবস্থা করব।সকালে ঘুম থেকে উঠে দিদি রান্নার আয়োজন করছিল। কি রান্না করবে দিদি জামাই বাবুকে জিঞ্জাসা করেছিল। তখন জামাই বাবু বলে আগে তোর ব্যবস্থা করি তারপর রান্না। তার কিছুক্ষণের মধ্যে অন্য একটি ঘর থেকে দিদির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন আমার দিদিকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আমরা থানায় জানাব। পুলিশ জানিয়েছে পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এমন ঘটনায় মৃতের পরিবার সহ এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে

