বংশীহারী:— ব্লকের পাঞ্জারীপাড়ার ডিগুয়াপাড়ার বাসিন্দা সরফরাজ আলীর উদ্যোগে প্রতি বছরের মতো এ বছরও খাজা বাবার চিল্লাখানা মেলা ও কাওয়ালী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ১৯৯০ সাল থেকে হয়ে আসছে এই অনুষ্ঠান। প্রতি বছর এই অনুষ্ঠানটি বাংলা কার্তিক মাসের ১৭ তারিক থেকে শুরু করে ৩ দিন ব্যাপি চলে এই অনুষ্ঠান। রবিবার সকাল দশটা নাগাদ খাজা বাবার মাজারে চাদর ছড়িয়ে উরুষ মোবারক করা হয়। এদিন সকাল থেকেই খাজা বাবা চিল্লা মেলা ও কাওয়ালী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীরা সকলে মিলে মাজারে চাদর ও ফুল চড়িয়ে দোয়া করেন। রবিবার বহিরাগত বিখ্যাত শিল্পী মুন্না আজাদ ভার্সেস নেহানাজ এর সমন্বয়ে সারারাত ব্যাপী কাওয়ালী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার অর্থাৎ ৫ই নভেম্বর বিখ্যাত শিল্পী নূর সালাম তাজ ভার্সেস রুকসানা পারভীনের সমন্বয়ে সারারাত ব্যাপী চলবে কাওয়ালী অনুষ্ঠান। বহু দুর দুরন্ত থেকে কাওয়ালী অনুষ্ঠান দেখতে ছুটে আসে বহু মানুষ। এছাড়াও জানা গিয়েছে খাজা বাবার চিল্লাখানার সহযোগিতায় যে সমস্ত ভক্তদের মনোকামনা পূরণ হয় তারাও ছুটে আসে মাজারে চাঁদও চড়াতে। খাজা বাবা চিল্লা খানার কাওয়ালী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ডিগুয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি এসে উপস্থিত হন বহু আত্মীয়-স্বজনরা। সকলের জন্য কমিটির পক্ষ থেকে খাবারের ব্যবস্থাও করা হয় বলে জানা গিয়েছে। প্রতি বছর এই সময়ে ওই এলাকার গ্রামবাসীরা কাওয়ালী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আনন্দ উৎসাহে মেতে উঠেন সকলে। এছাড়াও মেলা কমিটির উদ্যোক্তা সরফরাজ আলী প্রতিবছর রমজান মাসে বহু দুস্থ মানুষজনদের খবর নেন ও বস্ত্র বিতরণ করে থাকেন, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন গ্রামের বাসিন্দারাও।
এ বিষয়ে ডিগুয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা তথা মেলা কমিটির উদ্যোক্তা সরফরাজ আলি জানিয়েছেন, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছর আমরা ডিগুয়াপাড়া খাজা বাবা চিল্লা খানা মেলা কমিটির উদ্যোগে বহিরাগত বিখ্যাত শিল্পীদের দ্বারা তিন দিনব্যাপী কাওয়ালী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। কাওয়ালী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তিন দিনব্যাপী চলে মেলা। বহু দূর দুরান্ত থেকে মাজারে ছুটে আসেন ভক্তরা।

