পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২০ অক্টোবর ——– বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে নিয়ে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলার চিত্র কুমারগঞ্জে। খোদ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে আয়োজিত এই সভায় মিষ্টির প্যাকেট বিতরণকে কেন্দ্র করে শুরু হয় তুমুল হুড়োহুড়ি। মঞ্চ থেকে মন্ত্রী নামতেই প্যাকেট ছোড়াছুড়ি শুরু করেন তৃণমূলের নেতা কর্মীরা, যা সামলাতে এদিন রীতিমতো বেগ পেতে হয়েছে আয়োজকদের। আর যাকে ঘিরেই কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছে নেতৃত্বরা। রবিবার কুমারগঞ্জের ডাঙারহাট হাইস্কুল মাঠে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে দেখা মিলল এমনই দৃশ্য। যদিও বিশৃঙ্খলার কথা স্বীকার করেছেন খোদ ব্লক তৃণমূল সভাপতি উজ্জ্বল বসাক। তার দাবি এতবড় একটি অনুষ্ঠান যেখানে প্রচুর নেতা কর্মীদের সমাবেশ ঘটেছিল সেখানে হুড়োহুড়ি হওয়াটা স্বাভাবিক। কেননা সবাই একসাথে মিষ্টির প্যাকেট নিতে যাবার কারনেই কিছুটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে সবাইকেই তারা মিষ্টির প্যাকেট তুলে দিতে পেরেছেন।
রাজ্যের নির্দেশে জেলায় জেলায় বিজয়া সম্মিলনী করার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল। যে হিসাবে কুমারগঞ্জ ও কুশমন্ডিতে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ছুটে এসেছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এদিন প্রথমেই কুমারগঞ্জের ডাঙারহাটে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগদিতে হাজির হন ব্রাত্য বসু। যেখানে তিনি ছাড়াও হাজির ছিলেন মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র সহ জেলা তৃণমূলের প্রায় সকল স্তরের নেতারা। যে সভার শুরু থেকেই একাধিক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সম্মুখীন হন মন্ত্রী। কখনও মন্ত্রীর বক্তব্য আটকে নেতা কর্মীরা নিজেদের দাবিদাওয়া ও ক্ষোভের কথা শোনান। আবার কখনও বিজয়া সম্মিলনীর মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে হুড়োহুড়ি ও ছোড়াছুড়িতে জড়িয়ে পড়েছেন নেতা কর্মীরা। রাজ্য তৃণমূলের নির্দেশে জেলায় জেলায় বিজয়া সম্মিলনী আয়োজন করা হলেও, কুমারগঞ্জের এই সভায় দলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলার অভাব কার্যত প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে দলের নেতাদের মধ্যেই অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। দলের নেতা কর্মীদের দ্বারা আয়োজিত সভাতে মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে কেন এমন বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি হল তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন দলের অনেকেই।

