কাঠাম পূজার মাধ্যমে নির্ঘন্ট বাজলো উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ বোল্লা কালী পুজোর। ২২ নভেম্বর থেকে বালুরঘাটের বোল্লা গ্রামে বসছে তিনদিনের বিরাট মেলা

উত্তরবঙ্গ কলকাতা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ১৮ অক্টোবর ——– কাঠাম পূজার মধ্য দিয়ে নির্ঘণ্ট বাজলো বালুরঘাটের বোল্লা কালী পুজোর। শুক্রবার সকালে প্রাচীন রীতি মেনে পুকুর থেকে কাঠাম তুলে পূজার আয়োজন হয় বোল্লা মন্দির প্রাঙ্গণে। যেখানেই ভিড় জমান হাজার হাজার পুর্নার্থীরা। প্রতিবছরের মতো এবারেও রাসপূর্ণিমার পরের শুক্রবার অর্থাৎ ২২ নভেম্বর বোল্লা গ্রামে বসতে চলেছে সেই কালী পূজোকে ঘিরে তিনদিনের বিরাট মেলার আসরও। যেখানেই অংশ নেবে হিন্দু, মুসলিম ও খ্রিস্টানরা। ঠিক এই কারনেই উত্তরপূর্ব ভারতে অন্যতম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বৃহত্তম মেলা হিসাবে চিহ্নিত হয়ে উঠেছে বালুরঘাটের এই বোল্লাকালীর মেলা। বোল্লা এলাকায় অবস্থিত শতাব্দী প্রাচীন এই মেলার বিশেষত্ব হলো মেলা প্রাঙ্গনের একদিকে যেমন কালী মন্দির, ঠিক তার উল্টো দিকেই অবস্থিত মুসলিমদের ঈদগা ও কবরস্থান। প্রতি বছরের মতো এবারেও লক্ষ্মীপুজোর পরের শুক্রবার অর্থাৎ শুক্লা-চতুর্দশীর দিনেই আয়োজিত হয় দেবীর কাঠাম পূজো। এই দিন থেকেই শুরু হয় বিশালাকার বোল্লা কালীর প্রতিমা গড়বার কাজ। যা দেখতেই পূর্ণার্থীদের ভিড় এদিন যেন আছড়ে পড়েছিল বোল্লা মন্দির প্রাঙ্গনে।

বোল্লা কালী মন্দিরের বিশেষত্ব হলো সাড়ে সাত হাত উচ্চতার বিশালাকার প্রতিমা ও দেবীর মাহাত্ম্য। যে আবেগকে সামনে রেখেই জেলা ও রাজ্য ছাড়িয়ে প্রতিবছর দেশবিদেশের বহু লোক হাজির হন এই বোল্লা পুজোয়। দেবীর নির্মাণকাজ কাঠাম পূজার দিন থেকেই শুরু হয়। এই মেলার ইতিহাস শতাব্দী প্রাচীন, যা স্থানীয়দের মতে দেবী কালী এই অঞ্চলকে অশুভ শক্তির হাত থেকে রক্ষা করেন। মেলাটি শুধু ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বোল্লা মন্দিরের পুরোহিত অরূপ চক্রবর্তী বলেন, রীতি মেনেই এদিন দেবীর কাঠাম পুজো সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২২ নভেম্বর দেবীর পুজো ও তাকে ঘিরে প্রতিবছরের মতো এবারও বিরাট মেলা বসবে বোল্লা গ্রামে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *