কাটা,বাটখারা এবং ওজন মেশিন পুনরায় নবীকরণের ক্যাম্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন উপভোক্তারা।

উত্তরবঙ্গ কলকাতা খেলা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য

চাঁচল:———-—কাটা,বাটখারা এবং ওজন মেশিন পুনরায় নবীকরণের ক্যাম্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন উপভোক্তারা। উপভোক্তাদের অভিযোগ দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা পুনরায় নবীকরণের নামে দুর্নীতি করছে। সরকারি নির্দিষ্ট ধার্য্য মূল্যের সাথে মেরামতের নামকরে ইচ্ছেমতো নেওয়া হচ্ছে বাড়তি টাকা।বাড়তি টাকা ওজন মেশিন মেরামতের জন্য নেওয়া হচ্ছে বলেও সাফাই দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিক।বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগ কে কেন্দ্র করে ক্যাম্পে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচল কৃষক বাজারের উদ্যানপালন দপ্তরে।

প্রসঙ্গত, রবিবার চাঁচল কৃষক বাজারে, কাটা, বাটখারা ওজন মেশিন পুনরায় নবীকরণ করার ক্যাম্প বসে।এদিন থেকেই শুরু হয়েছে এই ক্যাম্প। উপভোক্তাদের অভিযোগ, নবীকরণ করার জন্য নির্দিষ্ট যে সরকারি মূল্য রয়েছে তার থেকে অতিরিক্ত মূল্য নেওয়া হচ্ছে ক্যাম্পে। সেই মূল্য ইচ্ছে মতো নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।যদিও আধিকারিকের দাবি, যে বেসরকারি সংস্থাকে এই ক্যাম্পের বরাত দেওয়া হয়েছে তাদের কর্মীদের পারিশ্রমিকের জন্য এই মূল্য নেওয়া হয়। অন্যদিকে উপভোক্তাদের অভিযোগ,এই মূল্য জালিয়াতি করে নেওয়া হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে যাদের কাটা বা বাটখারা মেরামতের করার দরকার নেই তারা কেন মূল্য দেবে।এছাড়াও উপভক্তাদের অভিযোগ,যাদের কাটা বা বাটখারা খারাপ নেই তারা কেনো মেরামত করার জন্য নির্দিষ্ট মূল্য দিবে? এর পিছনে দালাল চ্ক্র সক্রিয় থাকতে পারে বলে আশঙ্কা উপভক্ততাদের। সমগ্র ঘটনায় সঠিক নজরদারি চালানোর প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন উপভোক্তারা।

এক উপভোক্তা সাহারুল ইসলামের অভিযোগ, আমার ওজন মেশিন নবীকরণের জন্য সরকারি ভাবে ৪০০ টাকা নেওয়া হয়েছে।সেই টাকার উল্লেখ্য স্লিপে বড়ো করে লেখা হয়েছে। আবার সেই স্লিপের নীচে নবীরকরণ ও মেরামতের মূল্য যোগ করে মোট ৬০০ টাকা নিয়েছে।বাড়তি টাকার পাশে আমার স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।আমার ওজন মেশিন বিকল না থাকা সত্যেও মেরামতের টাকা দিতে হয়েছে।এইভাবে প্রত্যেক উপভোক্তাকে বিল ধরানো হচ্ছে।এর পেছনে জালিয়াতি রহস্য থাকতে পারে।প্রশাসন বিষয়টিকে নজর দিক।

যদিও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিক সুব্রত মল্লিক জানিয়েছে,বেসরকারি কর্মীরা মেরামতের কাজ করছেন। তবে সরকার তাদের অনুমোদন দিয়েছেন।তারা সরকারি ভাবে কোনো পারিশ্রমিক পাননা। তাই মেরামতের টাকা নিচ্ছে।কাজ না করে করে টাকা নেওয়া হলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *