জলপাইগুড়ি:-
কম জায়গায় পান চাষ করে আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন জলপাইগুড়ির নিখিল চন্দ্র দত্ত । সরকারের তরফে উদ্যোগ নিলে পান চাষের বাড়বাড়ন্ত হবে এবং স্বনির্ভর হওয়ার এক নতুন দিশা খুলে যেতে পারে বলে দাবি নিখিলবাবুর।
জলপাইগুড়ির রাহুতবাগান এলাকায় বাড়ি নিখিল চন্দ্র রায়ের। বড়মাপের চাষ করার মত জমি-জিরেত তেমন কিছু নেই। তাই বাড়ির মধ্যেই থাকা আধা বিঘা অর্থাৎ মাত্র দশ কাঠা জমিতেই বানিয়ে ফেলেছেন পানের বরোজ। গত প্রায় ত্রিশ বছর ধরে করছেন পান চাষ। এই পান চাষে দুটি সুবিধে। প্রথমত, কম জায়াগাতেও ভালোভাবেই পান চাষ করা যায়। অন্যদিকে, একবার পানের চারা লাগালে বছরের পর বছর তার থেকে ফলন পাওয়া যায়। তবে অসুবিধেও আছে। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা, পোকামাকড়ের আক্রমণ লেগেই আছে। যাতে পানপাতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভালোমানের কীটনাশক, সার ব্যবহার করতে হয় পানপাতা রক্ষা করতে। পাতা তোলার জন্য মজুরি দিয়ে কর্মীও নিয়োগ করতে হয়। ভালো ফলন হলে মানুফা হয় বলে জানিয়েছেন নিখিলবাবু। বাংলাপাতা নামে প্রচলিত এই পানপাতা মূলত খাওয়ার জন্য এবং বিভিন্ন পূজোর জন্য ব্যবহৃত হয়। জলপাগুড়ির স্থানীয় বাজারগুলির পাশাপাশি শিলিগুড়িতেও রফতানি হয় এই পান। ছোট পাতা এবং বড় পাতার হিসেবে দামেও পার্থক্য থাকে।
তবে ইদানিং পান খাওয়ার চল কিছুটা কমেছে। ফলে পান চাষের বাজারও মন্দা। নিখিলবাবু জানিয়েছেন, এইক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন। তার দাবি, পানের রসের অনেক উপকারিতা আছে। আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় পানকে “অনুপান” অর্থাৎ অন্য ওষুধের সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। নিখিল বাবুর দাবি, সরকারি তরফে সঠিক গবেষণার মাধ্যমে সেই রস ব্যবহার করতে পারলে স্বাস্থ্যের উপকার মিলবে । তাতে পান চাষে উৎসাহ বাড়বে মানুষের এবং বিকল্প আয়ের দিশাও দেখাবে।

