উত্তর দিনাজপুর জেলার ভারত বাংলাদেশের সীমান্তের রধিকাপুরের বেশ কয়েকটা গ্রামের মানুষ ভয়ঙ্কর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন

উত্তরবঙ্গ কলকাতা খেলা দক্ষিণবঙ্গ দেশ প্রথম পাতা বিদেশ বিনোদন রবিবার রাজ্য শরীর ও স্বাস্থ্য

উত্তর দিনাজপুর জেলার ভারত বাংলাদেশের সীমান্তের রধিকাপুরের বেশ কয়েকটা গ্রামের মানুষ ভয়ঙ্কর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।প্রতিবছরই নদী তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা টাঙ্গন নদীর ভাঙনের শিকার হয়। প্রত্যেক বছর বর্ষার শুরুতেই টাঙ্গন নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলিতে বসবাসকারী মানুষদের মনে আতঙ্ক বাসা বাঁধে, কখন জানি বসতবাড়ি ফসলি জমি ভিটেমাটি নদীগর্ভে চলে যায়। এলাকাবাসীরা জানান রোজ একটু একটু করে তিলে তিলে গড়ে তোলা ভিটেমাটি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। চোখের সামনে অসহায়ের মতো এই দৃশ্য দেখেও আটকানোর উপায় নেই আমাদের। শুধু তাই নয় এই এলাকার মেয়েদের বিয়ে হতেও সমস্যা দেখা দেয়। কারণ একটাই ভাঙ্গন যেভাবে তীব্র আকার ধারণ করেছে তাতে পাত্রপক্ষ কখনো এই জায়গাতে পছন্দ করছে না। বিঘা চার বিঘা বাঁধের জমি এখন তীব্র ভাঙ্গন এর কবলে। প্রতিবারই প্রশাসনের তরফ থেকে আশ্বাস দেয়া হয় যে এবার বাঁধ সংস্কার করা হবে সেই পর্যন্তই তাই পরে আর প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সেখানে আসতে দেখা যায় না। ফলে চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন রাধিকাপুর এর হাজার হাজার মানুষ। এলাকার বাসিন্দা দের দাবি প্রতিবছরই বর্ষার সময় নদীর জল যেভাবে দুকুল ছাপিয়ে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মধ্য দিয়ে তাদের গ্রামে প্রবেশ করে তাতে তাদের ভিটেমাটি উচ্ছেদ হয়ে যায় তখন তারা গৃহহীন হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয় তাদের বহু ফসল নষ্ট হয়ে যায় বন্যার জলে। অথচ বাঁধ সংস্কার করা হলে তাদের আর এই সমস্যা থাকবে না। প্রতিবারই এই সমস্যা তাদের নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রামবাসীদের আক্ষেপ তাদের গ্রামের মেয়েদের বিয়ে হতে চায়না তার একমাত্র কারণ এই ভাঙ্গন। পাত্রপক্ষ মেয়েকে পছন্দ করলেও গ্রামের এই সমস্যার জন্য পরে আর পাত্রীকে বিয়ে করতে চায় না। এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে আবারো বর্ষা এসেছে তাই এবারও খুব উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে রাধিকাপুর এর হাজার হাজার মানুষ। উল্লেখ্য ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এই রাধিকাপুর এর উদ গ্রাম, মির্জাগঞ্জ, চক দিলাল, রামপুর সহ বহু গ্রামের বাসিন্দারা আজ এই ভাঙ্গনের জন্য এখন থেকেই চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। দিনের পর দিন ভেঙেই চলছে টাঙ্গন নদীর বাঁধ। অথচ সমস্যার সমাধানে এখনো পর্যন্ত কোন ব্যবস্থায় হয়নি। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ থেকে শুভ আচার্য রিপোর্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *