বালুরঘাট, ১৮ নভেম্বর —–— বালুরঘাটের মল্লিকপুর স্টেশন এবার নাম বদলে পরিচিত হবে মল্লিকপুর মা বোল্লা কালী মন্দির স্টেশন নামে। রেলযাত্রী কল্যাণ সমিতির তরফে আনা যে প্রস্তাবেই সায় দিয়েছে রেলদপ্তর। উত্তরবঙ্গের অন্যতম বৃহৎ তীর্থস্থান বোল্লা কালীর ভক্তদের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে সূত্রের খবর। শুধু তাই নয়, বোল্লা কালী মন্দিরের সম্মান রক্ষার্থে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রেলদপ্তর বলেও সুত্রের খবর। যার মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের তীর্থযাত্রায় এক ভিন্নমাত্রা পেতে চলেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের এই বোল্লা গ্রামটি।
জানা গেছে, রেলদপ্তরের পরিকল্পনায়, মল্লিকপুর স্টেশনকে উন্নীত করে তিন লাইনের ক্রসিং স্টেশন ও বি-শ্রেণিতে পরিণত করা হবে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের মধ্যেই এই কাজ সম্পন্ন হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রেলযাত্রী কল্যাণ ও সমাজ উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান স্মৃতিশ্বর রায়। স্টেশনটির আধুনিকীকরণ তীর্থযাত্রী ও সাধারণ যাত্রীদের সুবিধার্থে আরও এক ধাপ এগিয়ে দেবে বলেই আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। যদিও বোল্লা মন্দির কমিটির তরফে মল্লিকপুর স্টেশনটিকে মন্দিরের কাছাকাছি কিছুটা সরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়েছে। তাঁদের মতে, এতে ভক্তদের যাতায়াত সহজ হবে। কেননা মন্দির সংলগ্ন এলাকায় সারাবছরই ভক্তদের ঢল লক্ষ্য করা যায়। উৎসবের মরসুমে যার সংখ্যা আরও বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। দূর দুরান্ত থেকে আসা যে হাজার হাজার ভক্তদের সুবিধার্থে বোল্লা পুজোর তিনদিন চন্দ্রা এলাকায় প্রতিবছরই রেলদপ্তরের তৎপরতায় তৈরি হয় একটি অস্থায়ী স্টেশন, যে এলাকাতেই মল্লিকপুর স্টেশনটিকে সরিয়ে আনবার জোড়ালো দাবি জানিয়েছেন বোল্লা মন্দিরের পুরোহিত অরূপ চক্রবর্তী।
দক্ষিণেশ্বর ও কামাখ্যার মতোই ধর্মীয় আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে এই স্টেশনের নামকরণে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। মল্লিকপুর স্টেশনের এই নতুন পরিচিতি রেলের পরিকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি পর্যটনকেও বাড়তি মাত্রা দেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

