আবারো ফাঁকা বাড়ির সুজোক নিয়ে বাড়িতে চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য শহর বুনিয়াদপুরে। প্রায় দুই লাখ টাকার সোনা ও গয়না চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর শহরে একাধিকবার ফাঁকা বাড়ির সুযোগ নিয়ে চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে। বুনিয়াদপুর শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ড হাটপুকুর এলাকায় আবারো ফাঁকা বাড়ির সুযোগ নিয়ে রাতের অন্ধকারে বাড়ির দরজা ভেঙ্গে প্রায় দুই লক্ষ টাকার সোনা ও গয়না চুরি হয়। প্রায় আড়াই ভুড়ি সোনা ও দুই ভরি রুপা গয়না সহ ১০ হাজার টাকা সহ আরো অন্যান্য জিনিস চুরি হয় সেই বাড়ি থেকে। কুশমন্ডি থানার অন্তর্গত তিন নম্বর উদয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কান্দো এলাকার শিক্ষক সুদেব রায় বিগত ছয় মাস আগে বুনিয়াদপুর শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ড হাটপুকুরে নতুন বাড়ি করে বসবাস করতে শুরু করেছেন। সোমবার সন্ধ্যায় ট্রেনে করে বালুরঘাটে আত্মীয়র বাড়ি গিয়েছিলেন সপরিবার মিলে। মঙ্গলবার সকাল দশটা নাগাদ বাড়ির প্রথম দরজা খুলে দেখে দ্বিতীয় দরজার তালা ভাঙ্গা রয়েছে। ঘরে প্রবেশ করতেই দেখে ঘরের দরজা জানালা আলমারি সকেষ ভাঙ্গা ও উলোট হয়ে রয়েছে। প্রায় দুই লক্ষ্য টাকার সামগ্রী চুরি হয় বাড়ি থেকে। এরকম দুরসাহশী চুরির ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন বাড়ির মালিক সহ এলাকাবাসীরা। বুনিয়াদপুর শহর এলাকাজুড়ে প্রায় শতাধিক বাড়িতে চুরির ঘটনার সাক্ষী স্টার সংবাদ রয়েছে। একাধিক পুলিশকর্তা বদলী হলেও ধরা পড়েনি চোরের দল, জা নিয়ে ক্ষোপ প্রকাশ করেছেন বুনিয়াদপুর শহর এলাকার বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ বছরের পর বছর ধরে বুনিয়াদপুর পৌর এলাকায় একাধিক বাড়িতে চুরি হলেও পুলিশ তার কিনারা করতে ব্যর্থ, এখনও পর্যন্ত এক জন চোরও ধরতে পারেনি পুলিশ প্রশাসন। শহর বাঁশি চাইছেন অতি শীঘ্রই যাতে পুলিশ এই চোরেদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তির ব্যবস্থা করে। খবর পেয়ে ছুটে আসে বংশীহারী থানার ও পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
এই বিষয়ে শিক্ষক সুবোধ রায় জানিয়েছেন আমি গতকাল সন্ধ্যেবেলা বালুরঘাটে আত্মির বাড়ি গিয়েছিলাম। আজকে সকাল বেলা বাড়ি এসে দরজা খুলে দেখি ঘরের দরজা ভাঙ্গা রয়েছে। বাড়ির সমস্ত জিনিস গুলোর পালট রয়েছে চুরি হয়েছে প্রায় দুই লক্ষ টাকার সোনা দেয় না ও টাকা। যেখানে যেখানে শোনা রুপোর ছিল সেই সেই জায়গাগুলো ভ্যানচর করেই সোনা দানা চুরি করেছে চোরের দল। সম্ভবত উন্নত মানের জিনিস নিয়ে চুরি করতে এসেছিল চোরেরা। নেই পুলিশদের কোন সক্রিয়তা। আমরা চাই পুলিশ অতি দ্রুত চোরদের গ্রেফতার করে আমাদের সামগ্রী ফেরত দেওয়ার দাবি করছি।
এই বিষয়ে গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন চুরির ঘটনা নিয়ে পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করা হয়েছে। চেষ্টা করা হচ্ছে চুরির ঘটনা খতিয়ে দেখে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

