বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর, ৪ ফেব্রুয়ারী –——— আদালতের মধ্যে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ! গ্রেফতার বুনিয়াদপুরের সরকারী আইনজীবী। শনিবার রাতে বুনিয়াদপুর আদালত চত্বর থেকে ওই সরকারি আইনজীবী প্রতুল মৈত্র কে গ্রেফতার করেছে বংশীহারি থানার পুলিশ। যার বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির পক্সো ও পোয়া আইন সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রজু করেছে পুলিশ। রবিবার ধৃত ওই সরকারী আইনজীবী কে দশদিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক দুদিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছে।
পুলিশ সুত্রের খবর অনুযায়ী গ্রেফতার হওয়া বুনিয়াদপুর আদালতের ওই সরকারি আইনজীবীর নাম প্রতুল মৈত্র। যার বিরুদ্ধেই উঠেছে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ। জানা গেছে প্রায় মাস তিনেক আগে গঙ্গারামপুর থানা এলাকার বাসিন্দা এক নাবালিকা অপহৃত হয়েছিল। অভিযোগ সেই মামলায় গত শুক্রবার গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী প্রতুল মৈত্র ওই নাবালিকাকে তার দরজা বন্ধ চেম্বারে ডেকে নিয়ে যায়। যেখানেই তার জবানবন্দি নেবার নাম করে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানি চালায় ওই সরকারী আইনজীবী বলে অভিযোগ। এরপরেই ওই নাবালিকা সেখান থেকে বেরিয়ে পুরো ঘটনা জানিয়ে দেয় তার পরিবারের লোককে। যা নিয়েই ওই নাবালিকার পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ জানালে বংশীহারি থানার পুলিশ প্রতুল মৈত্রকে গ্রেফতার করে। শুধু তাই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে পক্সো ও পোয়া আইনে মামলাও দায়ের করেছে বংশীহারি থানার পুলিশ। খোদ সরকারি আইনজীবির বিরুদ্ধে এমন মারাত্মক অভিযোগ সামনে আসতেই রীতিমতো হইচই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে। তবে প্রতুল মৈত্রর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগের ঘটনা দক্ষিণ দিনাজপুরে নতুন নয়। এর আগেও কুশমন্ডির বাসিন্দা এক ধর্ষিতা মহিলা সরকারি ওই আইনজীবির বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেবার জন্য হুশিয়ারি, অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ সহ একাধিক অভিযোগ এনে বংশীহারী থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন। যাকে ঘিরেও রীতিমতো শোরগোল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল গোটা দক্ষিণ দিনাজপুরে। যদিও প্রতুল মৈত্র কে পুলিশ মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বার এসোসিয়েশন। এদিকে একজন সরকারি আইনজীবীর এমন কর্মকান্ড নিয়ে কড়া ভাষায় নিন্দা করেছে বিজেপি। তাদের দাবি অভিযুক্ত প্রতুল মৈত্রর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তারা।
বিজেপির জেলা নেতা বাপি সরকার বলেন, প্রতুল মৈত্র তৃণমূলের পদেও রয়েছেন। যিনি আদালতের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসে এসব কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিলেন। যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তারা।
বুনিয়াদপুর বার এসোসিয়েশনের সম্পাদক রঞ্জন মিত্র বলেন, ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন প্রতুল বাবু। তাকে মিথ্যে মামলায় ফাসানো হয়েছে। যার বিরুদ্ধে আগামীতে তারা প্রতিবাদ আন্দোলনে নামবেন।

