বালুরঘাট, ৩ জুলাই: —–– আত্রেয়ীর জল বাড়তেই ভাঙন নিয়ে আতঙ্ক চকভৃগুতে। তুমুল বিক্ষোভ বাসিন্দাদের। ক্ষোভের মুখে পড়ে বাসিন্দাদের হাতে মারধর খাবার অভিযোগ এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী ও সুপারভাইজারের। সোমবার এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় বালুরঘাটের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের চকভৃগু এলাকায়। যে ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়। যদিও ঘটনার পরেই এলাকায় গিয়ে বিশ্বজিৎ রায় নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।
উত্তরবঙ্গের বেশকিছু এলাকাতে টানা বৃষ্টি নিয়ে ইতিমধ্যে কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। আর যার জেরেই জল বেড়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রায় সমস্ত নদীতেই। জেলার সদর শহর বালুরঘাটের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রেয়ী নদীতে জলস্কীতি বাড়তেই নতুন তৈরি হওয়া ড্যামের পার্শ্ববর্তী এলাকায় শুরু হয়েছে ভাঙ্গন। শুধু তাই নয় নতুন বাঁধের যে গার্ড ওয়াল তৈরি করা হয়েছে সেখানে একাধিক জায়গায় ইতিমধ্যে বড় বড় ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। আর যা নিয়েই তুমুল আতঙ্ক তৈরি হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। এদিন সকাল থেকে অবিশ্রান্ত বৃষ্টির ফলে কয়েক জায়গার মাটিও বসে যায় ড্যাম লাগোয়া এলাকায়। যার জেরে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা এদিন ভিড় জমান বাঁধের উপর। যে খবর দেওয়া হয় স্থানীয় কাউন্সিলর অনুশ্রী মহন্ত কে। এরপরেই কাউন্সিলরের প্রতিনিধি হিসেবে এলাকায় ছুটে আসেন ওয়ার্ডের সুপারভাইজার নকুল মল্লিক এবং তার স্বামী পামির কুমার দাস। অভিযোগ, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী ও সুপারভাইজার কে দেখতে পেয়েই তাদের উপর চড়াও হন স্থানীয় বাসিন্দারা। মারধরও করা হয়েছে তাদের, এমনটাও অভিযোগ কাউন্সিলার অনুশ্রী মহন্তর। যদিও কাউন্সিলরের তোলা অভিযোগ সম্পুর্ন ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও এই ঘটনার পরেই এলাকায় ছুটে গিয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশ বিশ্বজিৎ রায় নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনুশ্রী মহন্ত বলেন, সেচ দপ্তরের কাজ শেষ না হতেই বর্ষা চলে এসেছে। নদীর জলসফীতি বাড়াতে বেশ কয়েক জায়গার মাটি বসে গেছে। তবে সেচ দপ্তর তাদের সবটা দিয়ে চেষ্টা করছে এসব মোকাবিলা করবার। যে ঘটনা জানবার পরে এলাকায় যেতেই তার স্বামী ও সুপারভাইজারের উপর চড়াও হয়ে মারধর করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা কাত্তিক মহন্ত ও সঞ্জয় রায়রা বলেন, নদীর জলস্ফীতিতে বেশ কয়েক জায়গায় পাড় ভেঙ্গে গিয়েছে এবং আশপাশে বেশ কিছু জায়গা মাটি বসে গেছে। যার প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা। মারধোর করবার অভিযোগ সম্পুন্ন ভিত্তিহীন।

